অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট ও ইরানের ১৪তম সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সর্বোচ্চ নেতার সাথে সাক্ষাত করেছেন।
ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সাথে নয়া সরকারের প্রতিনিধি দলের এটাই প্রথম সাক্ষাত।
মোনাফেকিনে খালকের সন্ত্রাসী হামলায় ১৯৮১ সালে ইরানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ জাওয়াদ বহুনার এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলি রাজায়ি শহীদ হয়েছিলেন। তাঁদের স্মরণে ২২ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত (ফার্সি শাহরিভার মাসের প্রথম সপ্তাহ) ইরানে ‘সরকার সপ্তাহ’ পালন করা হয়।
ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এবং ১৪তম সরকারের প্রথম বৈঠকে মূল্যস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মতো বেশ কিছু বিষয়কে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সাইবার স্পেসে আইনের শাসনের প্রয়োজনীয়তাসহ উত্পাদনকে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা। এসব বিষয়কে সবার আগে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী গৌরবময় আরবায়িন আন্দোলনের প্রশংসা ও মর্যাদার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি সরকার সপ্তাহকে অভিনন্দিত করেন। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে জনগণের সেবা করার সুযোগ এবং চেষ্টা প্রচেষ্টাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নিয়ামত হিসেবে বিবেচনা করেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন: আল্লাহ এবং তাঁর সৃষ্ট মানুষের সেবা করার এই সুযোগ লাভের জন্য শুকরিয়া আদায় করা উচিত। সেইসাথে মনে রাখতে হবে সরকারের মেয়াদ ৪ বছর বিদ্যুৎ কিংবা বাতাসের গতিতে পার হয়ে যায়। সুতরাং এই সময়ের মধ্যেই মহতি বহু কাজ করা যায়।#
Leave a Reply